Bangla one-sided love Poems: ভালোবাসা যখন একতরফা হয়, তখন তা হয়ে ওঠে নিঃশব্দ কষ্টের অনুরণন। এমন অনেক হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্ত থাকে, যা ভাষায় বলা যায় না, কিন্তু কবিতায় রূপ পেলে হৃদয়ের গভীরে আলোড়ন তোলে। এই ব্লগে আপনি পড়তে পারবেন Bangla one-sided love poems, Bengali one-sided love poem, এবং heart touching Bengali love poem, যা ২০২৫ সালের জন্য একেবারে নতুনভাবে লেখা হয়েছে।
একতরফা ভালোবাসার যন্ত্রণা, প্রেমে প্রত্যাখ্যান, একপাক্ষিক ভালোবাসার আকুতি—সবকিছুর মিশেল রয়েছে এই emotionally charged Bangla kobita-গুলিতে। এখানে রয়েছে bangla love poem for him, bangla love poem for her, এবং one sided love status in Bengali-র মতো অনন্য সংযোজন। প্রত্যাশা, না-পাওয়ার ব্যথা, আর নিঃশব্দ ভালোবাসার গল্পই ফুটে উঠেছে প্রতিটি লাইনে।
Table of Contents
যদি আপনি একতরফা প্রেমের কবিতা বাংলা, মন কাঁদানো ভালোবাসার কবিতা, কিংবা unrequited love Bengali poetry খুঁজে থাকেন, তবে এই সংকলন আপনাকে নিঃসন্দেহে ছুঁয়ে যাবে।
Bangla one-sided love Poems l মন কাঁদানো ভালোবাসার কবিতা
✍️ তুই জানিস না তবুও ভালোবাসি তোকে
তুই জানিস না, তবুও ভালোবাসি তোকে,
চুপিচুপি রাখি তোর নাম হৃদয়ের মেঘে।
দিনের আলোয় তোর হাসি খুঁজি,
রাতের নিস্তব্ধতায় নিঃশব্দে ভিজি।
তুই হয়তো জানিস না, আমি তাকাই তোকে,
প্রতিটা ক্লাসে, বাসস্টপে, ভিড়ের ফাঁকে।
তুই ব্যস্ত থাকিস অন্য কারো গল্পে,
আর আমি নিঃশব্দে মিশে যাই ছায়ার মতো তোর পাশে।
হয়তো তোর জীবনে আমি শুধুই এক পরিচিত মুখ,
কিন্তু আমার মন জানে, তুইই আমার সুখ।
তোর চোখে দেখা হয় না আমার চোখে জমা নদী,
তোর স্মৃতিতে আমি নেই, তবুও তুই আমার হৃদবিন্দু খুঁজি।
তুই জানিস না, কতবার চেয়েছি বলি,
“ভালোবাসি তোকে”, এই ছোট্ট বাক্যখানি।
কিন্তু সাহস হারাই তোর একটুখানি অবহেলায়,
ভয় পাই, যদি হারিয়ে ফেলি এই নিরব ভালোবাসার ছায়া-ছায়া খেলায়।
তুই জানিস না, তবুও ভালোবাসি তোকে,
হয়তো কখনো জানতে পারবি, দেরিতে বা ভুল করে।
কিন্তু সেদিন আমি থাকবো না সামনে দাঁড়িয়ে,
শুধু কবিতার পঙ্ক্তিতে পড়ে নিবি, কারো নিঃশব্দ ভালোবাসার হেরে যাওয়া ইতিহাস।
নিরব চোখের জল
তুই জানিস না…
এই হৃদয়ের প্রতিটা স্পন্দনে তুইই বাজিস,
তোর মুখের হাসি আজও
আমার অশ্রুজলে আঁকা এক স্বপ্নচিত্র।
আমি তো চাইনি কিছুই তোর কাছ থেকে—
শুধু একটু চাওয়া, একটু দেখা,
একটু নিঃশব্দ বোঝা,
কিন্তু সে চাওয়াও হারাল শব্দহীন আকাশে।
তোর চোখে আমি শুধু একজন,
যে ছিল হয়তো ভিড়ের এক অংশ—
কিন্তু আমার চোখে তুই ছিলি
একটা পূর্ণ পৃথিবী,
যার চারপাশে আমি আমার সবকিছু গড়ে তুলেছিলাম।
আজ,
রোজ রাতে বালিশ ভেজে
একটা নাম না-বলা কান্নায়।
কারণ,
ভালোবাসা জানিয়ে দিলে সেটাও ভেঙে যেত হয়তো,
তাই রেখে দিয়েছি সব —
নিরব চোখের জলে।
💔 ভালোবাসা একান্ত আমার
(একতরফা প্রেমের কবিতা)
তুই বুঝিস না…
কতটা নিঃশব্দে ভালোবাসি তোকে,
তোর প্রতিটি কথায়, প্রতিটি হাসিতে
আমি খুঁজে নিই আমার স্বপ্নের ঠিকানা।
তুই হয়তো চলিস নিজের পথে—
আলাদা এক জগৎ,
যেখানে আমার কোনও স্থান নেই,
কোনও ইচ্ছে নেই আমার নাম লেখা দেওয়ালে।
আমি তো বলিনি তোকে কখনো,
তুই যেন দূরে চলে না যাস!
কারণ ভালোবাসা জোর করে থামিয়ে রাখা যায় না—
আমি শুধু ভালোবেসেছি নিঃশব্দে,
একান্ত আমার মতো করে…
তুই জানিস না—
তোর দেখা না পেলেও
আমি তোর অপেক্ষায় বাঁচি,
ভালোবাসা হয়তো কখনও সমান্তরাল ছিল না,
তবুও আমি
আমার ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রেখেছি—
একান্ত আমার করে…
তোর নামেই লিখেছি একলা প্রেমপত্র
তোর নামেই লিখেছি একলা প্রেমপত্র,
না-পাওয়ার হাওয়ায় ভেসে যায় যত স্মৃতির ছত্র।
তুই জানিস না, কাগজের পাতায়
তোর চোখের ছায়া এঁকে দিই বারবার –
মুখ ফুটে কিছু না বললেও,
কলমে বাজে শুধু তোর নামের সুর।
চিঠিটা যে শুধুই আমার,
তোর নামে লেখা, তবু তোকে না পাঠানো।
হৃদয়ের কোণে জমা যত না বলা কথা,
সব ঢেলে দিই নিঃশব্দে,
তুই শোনিস কি না জানি না,
তবু লিখে যাই – একা, নিঃস্ব, নীরব প্রেমপত্র।
ভালোবাসা তো চাওয়া নয়,
তুই বুঝিস না, তবু ভালোবাসি তোকে,
বুকের মাঝে যতই চাপা কষ্ট থাকুক,
তুই থাকলে শান্তি পাই,
না থাকলে – চিঠির ভাঁজে লুকিয়ে কাঁদি।
শেষ লাইনে লিখি —
“যদি কোনওদিন পড়ে ফেলিস এই না-পাঠানো প্রেমপত্র,
জেনে নিস, তোকে ভালোবেসে ছিল কেউ
যে কেবল তোকে দেখে বেঁচে থাকত নিরবে…”
যার ভালোবাসা চেয়েছিলাম, সে তো চায়নি আমায়
যার ভালোবাসা চেয়েছিলাম,
সে তো চায়নি আমায়,
আমি গেছিনু হৃদয় খুলে,
সে ফিরল চোখ ফিরিয়ে নির্দয়।
যার জন্য বৃষ্টিতে ভিজেছি একা,
তার হৃদয় তো রইল শুকনো,
আমার অপেক্ষার প্রহরগুলো
তার জীবনে যেন ছিল কেবলই অচেনা ক্ষণ।
আমি কবিতা লিখেছি তার চোখে দেখে,
সে পড়েনি একটাও পঙ্ক্তি,
আমি স্বপ্ন বুনেছি দু’জনের নামে,
সে ভেঙেছে সব – নিঃশব্দে, নিঃস্বভাবে।
ভেবেছিলাম, একদিন বুঝবে সে,
এই নিরব ভালোবাসার ভাষা,
কিন্তু সে তো বুঝল না…
ভালোবাসাও যেন এখানে একতরফা আশা।
তবু এখনো মনে পড়ে তার হাসি,
যা ছিল আমার জীবনের সব চেয়ে প্রিয় দৃশ্য,
যার ভালোবাসা চেয়েছিলাম,
সে না চাওয়াটাই – আমার ভালোবাসার চরম নিঃশেষ।
প্রতিদিন দেখি তোকে, প্রতিদিন হারাই
প্রতিদিন দেখি তোকে, প্রতিদিন হারাই,
চোখে ধরি আলোর মতো, অথচ প্রতিদিন সাঁঝে হারিয়ে যাস তুই।
ভিড়ের মধ্যে মুখটা দেখি,
হৃদয়টা কেঁপে ওঠে অজান্তেই —
ভাবি, যদি একটুখানি থেমে দেখতি আমায়…
তুই ব্যস্ত নিজের জগতে,
আর আমি বন্দি শুধু তোকে ভাবার জালে।
তোর হাসিটা যেন আমার জন্য নয়,
তবু সেই হাসিতে খুঁজি নিজের ঘরবাড়ি।
ভেবেছিলাম, একদিন হয়তো বুঝবি—
এই চুপ থাকা চোখের ভাষা,
কিন্তু তুই তো প্রতিদিন দূরে যাচ্ছিস,
আমি প্রতিদিন আরেকটু বেশি নিঃশব্দ হই।
তোর পায়ের শব্দে লিখি কবিতা,
তুই পড়িস না…
তবুও প্রতিদিন লিখি—
কারণ তুইই তো আমার একলা ভালোবাসার নাম।
প্রতিদিন দেখি তোকে,
প্রতিদিন হারাই —
তবু এই হারিয়ে যাওয়াতেই
আদিখ্যেতা রয়ে যায় একপাক্ষিক প্রেমের অজস্র ব্যথায়।
আমার অনুভবে শুধু তুই
আমার অনুভবে শুধু তুই,
মন মোর ডুবে যায় তোর ছোঁয়ায়।
শব্দে না বলা এক বিন্দু প্রেম,
তুই ছাড়া বুঝি লাগে না দিন, রাত।
চোখে চোখ পড়ে না হয়তো আজ,
তবু হৃদয়ে বাজে শুধু তোর নাম।
একলা পথে হাঁটলেও যে সুখের সুর,
তোর স্পর্শেই জাগে জীবনের দূর।
তুই আমার হাসি, তুই আমার স্বপ্ন,
তোর সাথে বাঁধা আমার অমল বন্ধন।
সাঁঝের হাওয়ায় যখন তুই বাজি বাঁশি,
আমার অনুভবে শুধু তুই — অনন্য প্রিয়।
তোর নিঃশব্দ অবহেলায় আমি অভ্যস্ত
তোর নিঃশব্দ অবহেলায় আমি অভ্যস্ত,
যেন একলা বাতাসে হারিয়ে যাওয়া পত্র।
যেখানে শব্দ হয় না, অনুভব মুছে যায়,
তবুও হৃদয় তার চিৎকারে বেঁচে থাকে স্রোতে।
তুই কথা বলিস না, চোখও ফিরিয়ে নেও,
আমি পড়ি সেই নীরবতার ব্যথা হাজার বারে।
কিছু চাইনি তো, শুধু থাকুক একটু পাশে,
তবু তোর নিঃশব্দ অবহেলা হয় আমার মন্ত্র।
আমি শিখে নিয়েছি অপেক্ষার গান,
যেখানে তুই বেজে উঠিস নিঃশব্দ বাদ্য।
হয়তো একদিন বুঝবি আমার সেই ধৈর্যের কথা,
তোর অবহেলায় আমিই গড়েছি নিজের শক্তির মন্ত্রণা।
তোর নিরব অবহেলায় আমি অভ্যস্ত,
কিন্তু মনে আছে, কখনো আবার চাইব তোর আলোর ছোঁয়া,
যেখানে ভুলে যাব এই নির্জনতা,
আর হবে শুধু একসাথে ভালোবাসার গান।
একতরফা ভালোবাসার দিনে
আজও মন ভরে যায় একতরফা ভালোবাসার দিনে,
যেখানে শুধু আমি ও তুমি নেই,
শুধু আমার হৃদয় ঝরে পড়ে,
তোর নাম না জেনে, তোর কাছে না গিয়ে।
বাতাসে মিশে আছে তোর অনাবৃত স্পর্শের স্বপ্ন,
তবুও তুই জানিস না, আমি কতটা অপেক্ষা করি নিঃশব্দে।
এই একতরফা ভালোবাসায় আমি পুড়ি,
তবু তোর জন্যই লিখি প্রতিটি ব্যথার কবিতা।
যখন তুমি হাসো অন্য কারো জন্য,
আমি শুধু তাকাই দূর থেকে, অজস্র কষ্ট গেঁথে।
তোর চোখে আমার ছবি অদৃশ্য হয়ে যায়,
আর আমি থাকি একলা ভালোবাসার স্মৃতিতে বেঁচে।
একতরফা ভালোবাসার দিনে,
আমি শিখেছি ধৈর্য্যের কথা,
যেখানে নেই কোনও প্রতিশ্রুতি,
তবুও ভালোবাসা একতরফা হলেও সত্য।
তুই ছিলি স্বপ্নে, আমি বাস্তবেও তোকে চেয়েছি
তুই ছিলি স্বপ্নে,
আলোর মতো ঝলমল করে অচেনা আকাশে,
আমি ছিলাম বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে,
হাজারো আশা বোনা মন নিয়ে,
তোর ছোঁয়া ছাড়া বাঁচার ব্যথা নিয়ে।
স্বপ্নগুলো যেন সত্যি হয়ে যেত একদিন,
তোর হাতে হাত জুড়ে আমার পথ চলা,
কিন্তু তুমি ছিলে শুধু দূরে, অজানা,
আমি পেতাম না কোন সঙ্গী, না কোন প্রতিশ্রুতি।
তুই স্বপ্নে ছিলি,
আমি বাস্তবেও তোকে চেয়েছি,
চেয়েছি একটুকু ভালোবাসা, একটুকু স্পর্শ,
কিন্তু তোর নিঃশব্দ বর্জনেই ভেঙে গেছে সবই।
এখনও লিখি সেই স্বপ্নের ঠিকানায় চিঠি,
যেখানে শুধু তুই আর আমি থাকব একসাথে,
তুই হয়তো নও, কিন্তু আমি এখনও
স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝে বেঁচে আছি শুধু তোকে চেয়ে।
ভালোবাসার কোনো জবাব আসে না
ভালোবাসার কোনো জবাব আসে না,
কথা বললেও যেন বাতাসে হারায়।
মন খুলে দিলাম শত শত স্বপ্ন,
কেউ শোনে না, কেউ বোঝে না আকাশের হাওয়া।
চিঠি লেখা হয়ে পড়ে একলা ড্রয়ারে,
প্রতি শব্দে মিশে থাকে অজস্র আশা।
তবুও ফিরে আসে শুধু নীরবতা,
যেন হৃদয়টা ভুলে গেছে বাঁচার ভাষা।
ভালোবাসা দিয়েছি আমি বিনিময়ে কিছু না পেয়ে,
তবু থেমে থাকিনি, রেখেছি বিশ্বাস।
কিন্তু আজ বুঝি, ভালোবাসার কথা নয় সব সময় কথার,
কখনো হয় শুধু একপাশে ঝরার মায়া, কষ্ট আর আশা।
READ MORE:
- বিখ্যাত বাংলা বিরহের কবিতা
- হৃদয়ছোঁয়া বাংলা বন্ধুত্বের কবিতা
- ক্ষমা করেছি বলেই তারা সুখে আছে — ৫০টি মন ছোঁয়া উক্তি
💔 নামহীন ভালোবাসা
তুই জানিস না, আমি তোকে কতটা চেয়েছি,
প্রতিটা নিঃশ্বাসে শুধু তোরই নাম রেখেছি।
তোর একটা হাসি — আমার সকাল,
আর তোর না দেখা — এক গভীর কুয়াশার বিকেল।
তুই অন্য কারোর সাথে হেঁটেছিস হাত ধরে,
আর আমি পথের পাশে থেকেছি — অদৃশ্য, নীরব, মরে।
তুই কখনো আমার ছিলি না,
তবু তুই ছিলি আমার পৃথিবীর সবচেয়ে আপন নামহীন ঠিকানা।
চেয়েছিলাম না তোকে জানাতে,
ভেবেছিলাম — তোর খুশি দেখেই বাঁচব আমি চুপচাপ প্রাতে।
কিন্তু মাঝেমাঝে বুক ফেটে চায় বলতে —
“আমি ভালোবাসি তোকে, একতরফা, নিঃশব্দে, চিরকাল এভাবেই…”
💔 ২. একলা চিঠি
তোর জন্য প্রতিদিন লিখি,
সাদা কাগজে আবেগের কালো শব্দ,
ভালোবাসা, অভিমান, না বলা গল্প —
সব ভরে রাখি চিঠির ভাঁজে ভাঁজে।
কিন্তু কখনো পাঠাই না তোকে,
জানি, তুই পড়বি না, বুঝবিও না,
তোর কাছে এসব কেবল অচেনা অক্ষর,
আর আমার কাছে — একলা রাতের সঙ্গী।
চিঠিগুলো পড়ে থাকে ডায়েরির পাতায়,
তুই জানিস না — তোর নামেই শুরু,
শেষ হয় তোরই অনুপস্থিতিতে।
তুই ছিলি না, তুই থাকিস না, তবু তুই আছিস —
এই “একলা চিঠি”-র প্রতিটি লাইনে।
💔 জানিস না তুই
জানিস না তুই, আমি কবে থেকে ভালোবাসি তোকে,
চোখের আড়ালে থেকেও দেখেছি তোর হাসি,
তুই ব্যস্ত ছিলি কারো হাত ধরে হাঁটতে,
আর আমি ব্যস্ত ছিলাম তোকে ভুলে যেতে — পারিনি।
জানিস না তুই, তোর একটা “হাই” কতোটা বদলে দিত আমার দিন,
তুই মেসেজ না দিলে রাতটা হতো নিঃশব্দ, কঠিন।
তুই জানিস না, আমি অপেক্ষা করি —
হয়তো একদিন তুইও বুঝবি, কে চুপচাপ ভালোবেসে গেছে তোকে।
জানিস না তুই, আমার প্রতিটা কবিতা তোকে ঘিরেই লেখা,
তুই নাম জানিস না, তবু সব লাইন শুধু তোকে দেখা।
তুই জানিস না — আর আমি বলিনি,
কারণ জানি, ভালোবাসা বললেই সব মেলে না…
কিছু ভালোবাসা শুধু একপাক্ষিক থাকে, চিরকাল…
💔 ৪. ভালোবাসা না পাওয়ার গল্প
চেয়েছিলাম তোকে, নিঃস্বার্থভাবে,
কোনো প্রতিদান চাইনি কখনও তোর কাছে।
তুই দেখিনি আমায় একটাবারও,
আর আমি তোকে দেখেছি হাজারবার — নিজের স্বপ্নে, নিজের চোখে।
তোর ভালোবাসা চেয়েছিলাম না হয়,
চেয়েছিলাম শুধু একটু বুঝতে —
যে কেউ তোকে নিঃশব্দে ভালোবাসে,
কেউ তোর সুখের জন্য কাঁদে একা, রাতে।
তুই অন্য কারোর পাশে হাঁটলি নির্দ্বিধায়,
আর আমি দাঁড়িয়ে রইলাম পেছনের ছায়ায়।
তোর চোখে আমি ছিলামই না,
তবু আমার চোখে তুই ছিলি শুরু, ছিলি শেষ, ছিলি সব।
এটাই ছিল আমার ভালোবাসা না পাওয়ার গল্প —
যেখানে ভালোবাসি তোকে,
তুই জানিস না, বুঝিস না, আর জানবিও না কখনো…
💔 একতরফা
ভালোবেসেছিলাম তোকে — একা, নিঃশব্দে,
তুই জানিস না, আমি কতো রাত জেগেছি তোর চিন্তায়।
তুই ব্যস্ত ছিলি অন্য কারোর স্বপ্নে,
আর আমি ব্যস্ত ছিলাম তোকে দেখে হেসে ওঠার অভিনয়ে।
প্রত্যাখ্যান? সেও তো চাইনি,
কারণ বলার সাহসই জোগাড় হয়নি কোনোদিন।
তোর অবহেলা, তোর না-দেখা,
আমার জন্য ছিল দিনের আলোয় ছায়ার মতো সঙ্গী।
তোর ছবি দেখে হেসেছি, কেঁদেছি,
তুই প্রেম করিস — শুনে বুক ফেটে গেছে, কিন্তু মুখে হাসিই ছিল।
জানিস? এই না-পাওয়ার গল্পটাই
আমার জীবনের সবচেয়ে সত্যিকারের ভালোবাসার গল্প।
যে ভালোবাসা কখনো কবুল হয়নি,
তবু ছিল সবচেয়ে গভীর, সবচেয়ে নির্মল —
একতরফা, চিরকালীন, অনন্ত ভালোবাসা।