নিঃশব্দ কান্না, ভাঙা স্বপ্ন, আর না বলা ভালোবাসার গল্প—এই সবকিছু যেন একাকার হয়ে যায় বিখ্যাত বাংলা বিরহের কবিতা-গুলিতে। ভালোবাসা যতটা মধুর, তার বিচ্ছেদ ততটাই তীব্র। এই বিচ্ছেদের ব্যথা থেকেই জন্ম নেয় জনপ্রিয় বিরহের কবিতা, বাংলা ব্রেকআপ কবিতা, আর হৃদয়ভাঙা কবিতা। বাংলা সাহিত্য বরাবরই সমৃদ্ধ বিরহের চিত্রণে, যেখানে প্রতিটি শব্দে মিশে থাকে কষ্টের স্পর্শ, ভালোবাসার না-পাওয়া আকুতি।
এই ব্লগে আমরা তুলে ধরছি এক মন ছুঁয়ে যাওয়া বাংলা দুঃখের কবিতা এবং প্রেমে বিচ্ছেদের কবিতা-র এক বিশেষ সংগ্রহ, যেখানে রয়েছে প্রেমে হারিয়ে যাওয়া অনুভব, ভালোবাসার কষ্টের কবিতা, এবং বিচ্ছেদ নিয়ে লেখা আবেগঘন পদ্য। বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কিছু breakup poems in Bengali, sad Bengali love poems, এবং emotional Bengali poems একত্রিত করে আমরা তৈরি করেছি একটি হৃদয়স্পর্শী বিরহ কবিতা কালেকশন।
Table of Contents
যারা খুঁজছেন বাংলা প্রেম বিচ্ছেদ কবিতা, দুঃখের কবিতা বাংলা ভাষায়, কিংবা broken heart Bengali poem, তাদের জন্য এই ব্লগ একটি আবেগময় যাত্রা—ভালোবাসার অতীতকে ছুঁয়ে যাওয়ার এক অনন্য উপায়। সঙ্গে থাকুন, অনুভব করুন সেই সেরা বাংলা দুঃখের কবিতা, যা হয়তো আপনার নিজের গল্পের সাথেই মিলে যাবে নিঃশব্দে।
বাংলা বিরহের কবিতা l Famous Bengali Breakup Poems
🌫️ চলে যেও না এখনই
চলে যেও না এখনই, সন্ধ্যা নামেনি ঠিক,
আকাশজুড়ে কাঁদে মেঘ, চাঁদও রাখেনি চোখে দৃষ্টিক।
তোমার পায়ের শব্দে জাগে, হৃদয় নিঃশব্দ বেদনায়,
একা পথের সঙ্গী হলে, ফেরা কী আর হয়?চলে যেও না এখনই, কিছু গল্প বাকি আজ,
বুকের ভেতর চাপা আছে, কত না বলা সাজ।
হাতটা ছুঁয়ে থাকো কিছুক্ষণ, দাও না একটু সময়,
ভালোবাসা তো চাইলেই ফুরোয় না, চাইলেই হয় ক্ষয়।দেখো না, ফুলেরা কাঁদে, বিকেলের হাওয়াও থেমে,
তোমার নাম জপে বাতাস, নিঃশব্দে, নীরবে।
চলে যেও না এখনই, অন্ধকার আসুক ধীরে,
ভালোবাসার এই শেষ প্রহর, কাটুক তোমার ঘিরে।
💔 তোমায় ছাড়া দিন কাটে না
তোমায় ছাড়া দিন কাটে না, ঘড়ির কাঁটা কাঁদে,
সময় থেমে যায় যেন, চোখের জলে ভাসে পথের সাঁকে।
ভোরের আলো মলিন লাগে, চা-র কাপও ফাঁকা,
তুমি ছিলে যেইখানে, সেখানেই জেগে থাকে আশা।তোমায় ছাড়া মন বোঝে না, কাকে বলি কীভাবে,
প্রতিটি শব্দে তোমার নামই আসে ভেসে আবছায়।
আকাশটাও কেমন নীরব, গান গায় না পাখি,
তোমার ছোঁয়া না পেলে, হৃদয় খুঁজে শুধুই আঁধার-পথ খাকি।রাত্রির তারা বলে— “ফিরে আসবে?” — জানি না,
স্বপ্নে এসেও তুমি আজ চুপচাপ কাঁদো না জানা।
তোমায় ছাড়া দিন কাটে না, নিঃশ্বাসে ব্যথা ভরে,
ভালোবাসা যে এত ভারী, তা বুঝিনি কোনো ঘোরে।
💔 ফিরে এসো, হৃদয় কাঁদে
ফিরে এসো, হৃদয় কাঁদে, নিঃশ্বাস আজ থেমে যায়,
তোমার অভাব বুঝি, চোখের কোণ ভিজে যায়।
তুমি ছিলে আলো আমার, অন্ধকারে আজ হারিয়ে,
প্রতিটি ক্ষণ জুড়ে শুধু, তুমিই ফিরে ফিরে।দেয়াল জুড়ে স্মৃতির ছায়া, ছবিগুলো তব চেয়ে রয়,
বালিশে লুকানো কথা গুলো, কান্না হয়ে স্রোত বয়।
চিঠির পাতায় নাম লেখা, কালি আজও ভেজা,
ভালোবেসে যে হারায়, সে কষ্টে নীরব লাজে পাজে।বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে জানালায়, যেন তোমার কথা,
তুমি কাছে এলে হৃদয় গাইত ভালোবাসার ব্যথা।
আজ আর কেউ নেই পাশে, নিঃসঙ্গ একা আমি,
তোমার মতো করে কেউ বোঝেনি মনের ঘুমহীন স্বামী।ঘুঘুর ডাকে নিশীথ রাতে, স্মৃতি জাগে বুকে,
কোন অভিমানে গেলে তুমি, রেখে গেলে শূন্য সুখে?
তোমার হাসি ছিল ওষুধ, তোমার চোখে চাঁদের আলো,
আজ সবকিছু ফাঁকা লাগে, হৃদয় আমার বড্ড কালো।আমি প্রতিদিন পথ চেয়ে থাকি, সিঁড়ির ধারে বসে,
হয়তো কোনো এক বিকেলে, হঠাৎ তুমি ফিরে এসে—
বলবে, “চলো আবার শুরু করি,” ভুলে যাওয়া হোক,
ভালোবাসা তো শেষ হয় না, যতই থাকুক শোক।তুমি না এলে, এ হৃদয় কাঁদবে আরও শত জনম,
ফিরে এসো প্রিয়, তোমায় ছাড়া, জীবন যে বড়ই নির্মম।
ভাঙা স্বপ্নের গল্প
ভোরের আলোয় ভেজা চোখে, স্বপ্ন দেখি একলা হেঁটে,
তুমি ছিলে পাশে আগে, আজ কেবল স্মৃতির বেঁটে।
তোমার বলা প্রতিটা কথা, মন জুড়ে বাজে আজ,
ভালোবাসা ছিল সত্যি, না কি কেবল ছলনার সাজ?আকাশটা কেঁদে ওঠে হঠাৎ, মেঘে ঢাকা হৃদয়খানি,
তোমার ছায়া ছুঁতে গিয়ে পাই কেবল ফাঁকা বরণাবাণী।
চিঠিগুলো আজও রাখা, কাগজে তোমার নাম,
ভাঙা স্বপ্ন, ছিঁড়ে যাওয়া বিশ্বাসে জড়ানো ঘুমের জাম।চোখে ভেসে ওঠে ছবিগুলো, তোমার হাসির ছায়া,
বুকের ভিতর ঢেউ তোলে এক অসহায় মায়া।
তোমার ছোঁয়া ছাড়া যেন জীবন থমকে গেছে,
ভালোবাসা মানে শুধু কি প্রিয়জন একদিন যাবে চলে?রাতের তারা জ্বলে আজও, তোমার কথার তরে,
তুমি বলেছিলে ফিরবে আবার, সেই প্রতীক্ষায় পড়ে।
আজও আমি চেয়ে থাকি, সেই পুরনো জানালায়,
যেখানে একদিন তুমি বলেছিলে, “আমি আছি এই পথেই!”ভাঙা স্বপ্নগুলো একে একে গল্প হয়ে যায়,
সেই গল্পে আমি একা, তবু তুমি থাকো আশায়।
যদি একদিন আবার আসো, বলো ফিরে চাও কি আমায়?
নাকি এই ভাঙা স্বপ্নই চিরদিন তোমার গল্পের ছায়া হয়?
চিঠি লেখা অশ্রুজলে
চোখের পাতায় জমে থাকা কষ্টগুলোর দল,
তোমার না থাকার ব্যথা আজও করে উথলপাথল।
চুপিচুপি রাতে বসে লিখি সেই চিঠি,
যা কখনো পাঠানো হয়নি, শুধু কল্পনায় জ্বলে নিভি।প্রথম লাইনে লিখি, “তুমি কেমন আছো বলো?”
তারপরই জলের ছাপ, কাগজটা ধীরে গলে চললো।
দ্বিতীয় লাইনে জিজ্ঞেস করি, “আমায় কি মনে পড়ে?”
তৃতীয় লাইন এসে থামে, চোখের কাঁদা ভরে।বলে উঠি, “স্মৃতিগুলো আজও তাড়া করে আমায়,”
“যখন সন্ধ্যা নামে, তারা গায় শুধু তোমার গায়।”
ভেবেছিলে কী, ভুলে যাব এত তাড়াতাড়ি?
না, ভালোবাসা তো কোনোদিন হয় না পুরনো বা ফাঁকি।তোমার দেয়া গানের সিডি, এখনো চলায় মন,
সেই গানের সুরেই দেখি, তোমার চোখের পন।
হঠাৎ বাতাসে ঘ্রাণ আসে তোমার চুলের,
মনে পড়ে তুমি কীভাবে হাসতে – সেই ভুলে যাওয়া কূলে।তুমি বলেছিলে, “চলো আলাদা হই কিছুদিন,”
কিন্তু আমি তো জানতাম না, তা হবে চিরদিন!
আমার একা থাকা মানে কেবলই একটা গল্প নয়,
তা একটা অসমাপ্ত কবিতা, যার পাঠক আজও কাঁদে রয়।এই চিঠির শেষে লিখি, “ফিরে এসো যদি পারো,”
না হলে স্বপ্নে এসো, সেখানেই ভালোবাসার ছায়া ধারো।
এই কাঁদা অক্ষরে, অশ্রুজলে লিখা মনখারাপ,
তোমার কাছেই চিঠি পাঠালাম, খোলা হাওয়ার ছাপ।একবার পড়ো, যদি কণ্ঠে আমার নাম জাগে,
তবে জেনো, এখনো আমি প্রতীক্ষায় – হৃদয়ে অনুরাগে।
তোমার সেই স্পর্শ না থাকলেও, ভালোবাসা আজও বেঁচে,
চিঠির মাঝে বুনে দিলাম স্বপ্ন, যা ফিরে এসেও কিছু বলে না বাঁচে।
নিঃশব্দ বিদায়
চোখে চোখ রেখে বলোনি কিছু,
তবুও বুঝে নিয়েছি শেষের পিছু।
স্মৃতির পাতায় আঁকা ছবিখানি,
আজও বলে তুমি ছিলে আপন-জানি।হাত ছুঁয়ে বলোনি বিদায় শব্দ,
তবুও অনুভবে এসেছিল স্তব্ধ।
তোমার নীরবতা ভাষা হয়ে এল,
অশ্রুর খামে এক চিঠি মেলে গেল।হাসি দিয়ে তুমি চেপে গেলে কান্না,
আমার বুক ফাটল, কাঁদল যন্ত্রণা।
বলি না কিছু, শুধু তাকিয়ে থাকি,
ভালোবাসা আজ পড়ে রইল ফাঁকি।ঘড়ির কাঁটায় থেমে গেছে সময়,
আমার ভেতরে কেবল তুমিই রয়।
প্রতিটি নিশিতে নাম ধরে ডাকি,
শূন্যতা বুকে তুলে নিই নাকি?প্রতিশ্রুতি ছিল, ফিরবে আবার,
তুমি জানো না আমি কত করি অপেক্ষার।
দরজার ছায়ায় দেখি আজও মুখ,
স্মৃতির পানে ছুটে চলে মনভূখ।একটিবার ডাকো, বলো ভালোবাসি,
ফিরে এসো, মুছে যাক এই নিরব বাঁচি।
এই কবিতার প্রতি লাইনে রেখেছি মন,
“নিঃশব্দ বিদায়”-এই প্রেমের শেষ ধ্বনি-ton।
আকাশের কান্না
নীল আকাশ আজ কাঁদে চুপিচুপি,
মেঘের ভাঁজে লুকিয়ে ব্যথা লুপ্ত রূপে।
তুমি নেই, তবুও বাতাসে তোমার গন্ধ,
হৃদয়ে বাজে শূন্যতার একতারা ছন্দ।প্রেমের সেই দিনগুলি মুছে যায় ধীরে,
তবুও চোখ খুঁজে ফেরে তোমার ছবি নীলে।
চাঁদ যেন এখন উদাস, কষ্টের সাথী,
তারাদের মাঝে খুঁজি তোমার একটুখানি কথা।যত দূরে যাও তুমি, তত কাছে টানে,
স্মৃতির পথঘাটে মন শুধু হেঁটে বেড়ায় অজানায়।
তোমার নামেই গানে বাজে দুঃখের সুর,
ভালোবাসার ফাঁকে হারিয়ে গেলো যে শান্তি আর নূর।ফুল ঝরে যায় যেমন ঋতুর পরিবর্তনে,
তেমনি হারালে তুমিও, অনিশ্চিত এক ক্ষণে।
তবুও আজও আমি অপেক্ষায় থাকি,
তোমার ফেরার খবরে হৃদয় জেগে উঠে ডাকি।বৃষ্টি নামে, জানি — তুমি ফিরবে না,
তবুও চোখ ভেজে, কারণ মন আজো তোমার কথা গা।
ভালোবেসেছিলাম — এ কথা চিরন্তন,
তোমার স্পর্শে গড়া ছিল আমার মন।আকাশের কান্না তাই থামে না কোনোদিন,
ভালোবাসা যে হারিয়ে গেলে পরে হয় নিরব চিত্তবিন।
ভুলে থেকো না আমায়
ভুলে থেকো না আমায়, যতোই যাক দূরে,
মনের আঙিনায় আমি থাকি স্নিগ্ধ সুরে।
যত স্মৃতি জমেছে তোমার আলমারিতে,
একটুখানি আমিও রেখো মনের গভীরnite।ভোরের আলোয় যদি দেখো স্বপ্ন ভাঙে,
জেনো, সেখানে আমার ছোঁয়াটুকুই আছে জড়িয়ে রাঙে।
চোখে জল এলে, দিও না লুকিয়ে,
আমার নামটা মৃদুস্বরে বলো, নিঃশব্দে, চুপিসারে।হয়তো আর দেখাও হবে না কোনোদিন,
তবুও মনে রেখো—ভালোবাসা তো মরে না কিন।
তোমার হাঁটাচলার ছায়ায় আমি থাকি,
হয়তো অনুভব করো না, তবুও আমি ফাঁকি দিই না থাকি।ভুলে থেকো না আমায়, যদি পাও নতুন হাসি,
জীবনের রঙে আঁকো ছবি, তবুও রেখো একটু ভালোবাসি।
আমার চিঠিগুলো, যত ব্যথা জমে আছে,
স্মৃতির খাতায় রেখো—পড়লে চোখ জলে ভাসে।যদি কারো কাঁধে রাখো ক্লান্ত মাথা,
মনে রেখো, কোনো একদিন আমি দিয়েছিলাম পথের সাথে কথা।
ভুলে থেকো না আমায়, যদিও পথ আলাদা,
তোমার আকাশে আমি আজো বৃষ্টি হয়ে ঝরা শব্দহীন সাড়া।
যাওয়া মানেই কি ফেরা নেই?
যাওয়া মানেই কি ফেরা নেই, বলো তো প্রিয় একবার?
তুমি গেলে, ফেলে দিলে, হৃদয়টা আমার হাহাকার।
রাত্রির তারা, জোনাকির আলো, সাক্ষী হল তোমার বিদায়,
তবু আজও অপেক্ষায় থাকি, ফেরার যে একটুখানি আশায়।চলে যাওয়া যদি চিরতরের হয়,
তবে কেন তোমার ছোঁয়া আজও অনুভবে রয়?
যাওয়া কি তবে শুধু দেহের সরে যাওয়া?
না কি হৃদয়ে থেকেও দূরত্বের সৃষ্টি করা?স্মৃতির পাতায় তুমি আঁকা, প্রতিটি শব্দে ব্যথা জাগে,
হঠাৎ যদি ফিরে আসো, জানি না কেমন লাগবে।
তবুও স্বপ্নে দেখি বারবার,
তুমি আসো, হাসো, আর থাকো আমারই ঘরবার।তুমি বলেছিলে, “বিদায় নয়, শুধু কিছু সময় চাও”,
আমি আজও সেই সময়টুকুর অপেক্ষায় থাকি কাঁপা কাঁপা চাওয়ায়।
তোমার যাত্রাপথের শেষে যদি হয় কোনো বাঁক,
সেখানে কি আমার স্মৃতি একটু ছায়া হয়ে থাক?যাওয়া মানেই কি সব শেষ? সব গল্পের অবসান?
না কি বিরহের বুকে লেখা থাকে ভালোবাসার গান?
তুমি ফিরবে কি না, জানি না প্রিয়,
তবু আশা রাখি, ফিরে আসবে তুমি — একদিন, এক পলক, এক স্পর্শে নতুন করে জীবিত হবো আমি।
হারানোর শব্দ
তোমায় ছুঁয়ে যাওয়া ব্যথা,
নিঃশব্দে বাজে হৃদয়ের ভিতর,
যেন স্মৃতির মেঘে ঢাকা
একটি নামহীন শেষ প্রহর।হারানোর শব্দ — কী নিঃশব্দ তা!
তবুও প্রতিধ্বনি তুলে যায়,
ভাঙা স্বপ্নের কাঁচের মতো
আমার বুক জুড়ে কাঁদে হায়।স্মৃতির বালুচরে একা বসে
তোমার ছায়াকে খুঁজি বারবার,
হৃদয়টা যেন এক সমুদ্র,
জোয়ারে তবু নেই আর পার।তোমার ছোঁয়া, তোমার হাসি—
সবই আজ কেবল কল্পনা,
হারানোর শব্দ বাজে শুধু,
ভালোবাসার সেই সুরহীন গাথা।যাওয়ার সেই মুহূর্তটি
আজও থমকে আছে সময়ে,
তবু হৃদয় বলে—
তুমি ফিরবে কি একদিন, আবহাওয়ার মতন বয়ে?
💔 তোমায় ছুঁয়ে যাওয়া ব্যথা
তোমায় ছুঁয়ে যাওয়া ব্যথা
আজও পোড়ায় রাতের কান্নায়,
অভিমানের ধুলো জমে আছে
স্মৃতির প্রতিটি জানালায়।তোমার নামে লেখা চিঠিগুলো
ভিজে গেছে নির্জন বৃষ্টিতে,
তবুও একফোঁটা আশার আলো
জ্বলে আজো নিঃশব্দ দৃষ্টিতে।শুধু একবার বলো — ভুলিনি আমায়,
তবেই হয়তো এই মন হাসবে,
নয়তো রয়ে যাবে কেবলই
শূন্যতা, যা চিরকাল কাঁদবে।আমার চোখে যত অশ্রুবিন্দু
সব তোমার ছায়া হয়ে থাকে,
ভালোবাসা হারিয়ে গেলে বুঝি
ব্যথা এমনই নিরব ঢাকে।তোমায় ছুঁয়ে যাওয়া ব্যথা,
হয়ে গেছে এক চিরন্তন গান,
যে গান গায় হৃদয় ভাঙার
ভোরের ঠিক আগের সন্ধান।
💔 স্মৃতির বালুচরে একা
স্মৃতির বালুচরে একা
আমি হেঁটে যাই, পায়ে রক্ত জড়ানো,
তোমার ছায়া পড়ে পেছন থেকে
তবুও পাশে নেই, কেবল অভিমানো।তুমি ছিলে একদিন আলো
আমার আঁধার ঘরের জানালায়,
আজ সেই আলো স্মৃতির মতো
ধূসর, কাঁপে কুয়াশার ঠাণ্ডা হাওয়ায়।তোমার ফেলে যাওয়া শব্দগুলো
আঘাত করে হৃদয়ের চরে,
ভালোবাসা আজ শুধুই ক্ষরণ
বিষণ্ন কোন চিরদিনের ভোরে।তোমায় ভেবে লেখা কবিতাগুলো
আজ একা পড়ে থাকে —
পৃষ্ঠাগুলো হলুদ, অক্ষর ঝাপসা
শুধু ব্যথা জমে থাকে।স্মৃতির বালুচরে একা
তোমারই খোঁজে প্রতিক্ষণ,
জানি, ফিরবে না আর
তবুও জেগে থাকে হৃদয়-মন।
চিঠি লেখা হয়নি
তোমার জন্য অনেক রাত জেগেছি,
মনের ভিতর শুধু নাম রেখেছি।
চেয়েছি লিখি এক চিঠি তোমায়,
ভাষা খুঁজে পাইনি, কেবল কান্না ছোঁয়।চাঁদের আলোয় বসেছি বারান্দায়,
হাতের কাঁপনে কলম থেমে যায়।
যে কথা ছিল অন্তরের গভীরে,
তা লিখতে গেলে চোখ ভিজে নীরে।প্রতিটি শব্দে ছিল একেকটা ক্ষত,
তোমার অভাব যেন শূন্যতার সত্ত্ব।
ভেবেছিলাম লিখি— “ভালো থেকো”,
কিন্তু কলম বলল, “ভুলে থেকো”।চিঠির খামে জমে রইল অশ্রু,
অবশেষে ফেলে এলাম বিষাদের পুষ্প।
চিঠি লেখা হয়নি, রইল অসমাপ্ত,
তবুও ভালোবাসি— এই ছিল সত্য।
আমার বিরহে তুমি
আমার বিরহে তুমি, নীরবতার সুর,
শূন্য বিকেলের ঝাপসা দুপুর।
তোমার চোখে ছিল যে অজানা আকাশ,
আমার চোখে আজ কেবলই নিঃশ্বাস।তুমি ছিলে স্বপ্নের নরম পালক,
ভালোবাসা ছিল কাগজের নৌকার ছলক।
আজ সেই নৌকা ডুবে গেছে সময়ের জলে,
আমি বসে আছি ভাঙা ঘড়ির কাঁটা ধরে।তোমার স্পর্শ ছিল নিভে যাওয়া আলো,
যার উষ্ণতায় জেগে উঠত ভালো।
এখন সে আলো শুধুই স্মৃতির কুয়াশা,
তুমি নেই পাশে, আছে শুধু ভাষাহীন ভালবাসা।আমার বিরহে তুমি, এক চিরন্তন ব্যথা,
যা কাঁদায় হৃদয়, বলে না কথা।
তবু তোমাকে রেখেছি প্রাণের ভিতর,
ভুলতে পারিনি — তুমিই যে অন্তর।
ভালোবাসা ছিল, শুধু তুমি ছিলে না
ভালোবাসা ছিল নিঃশব্দ চিঠিতে,
রাতের কান্না ভেজা বিছানার রিক্তে।
ছিল অপেক্ষার দীর্ঘ নিশ্বাস,
কিন্তু ছিল না তুমিই, সেই আশ্বাস।ভালোবাসা ছিল জানালার পাশে,
বৃষ্টি পড়ার ছন্দহীন ভাষে।
তোমার নামটা ডাকত মন,
তবুও কেন এসোনি তখন?ভালোবাসা ছিল ভোরের আলোয়,
অতীত জুড়ে স্মৃতির মালায়।
কাছে ছিলে ছায়ার মতো,
তবু হারিয়ে গেলে, নিরবতা যত।ভালোবাসা ছিল, রোজকার চায়ে,
হাতে ধরা কাপে বিষাদের আয়।
তুমি ছিলে গল্পের শেষ ছত্র,
যার আগে কেবল কান্না আর প্রহর।ভালোবাসা ছিল, শুধু তুমি ছিলে না,
হৃদয়ের গহীনে তোমার অভাবই ছিল সাথী।
সব পেয়েও অপূর্ণ থেকেছি আমি,
ভালোবাসা ছিল, তবু তুমি ছিলে স্বপ্নের যামী।