পরিণীতা উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তিঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমভরা কলমে রচিত এক অনবদ্য উপন্যাস ‘পরিণীতা’। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের কলকাতার প্রেক্ষাপটে লেখা এই উপন্যাসে যেমন রয়েছে মধ্যবিত্ত জীবনের দুঃসহ কেরানিজীবনের করুণ প্রতিচ্ছবি, তেমনি রয়েছে নিঃশব্দ প্রেম, আবেগের টানাপোড়েন এবং সমাজ-সংসারের সংঘাত।
ষাট টাকার কেরানি গুরুচরণ, তার মেয়ে ললিতা, প্রতিবেশী শেখর এবং সহানুভূতিশীল গিরিনের সম্পর্কের জটিল বাঁধনে গড়ে উঠেছে একটি মানবিক কাহিনী, যা পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলে। এই উপন্যাসে শরৎচন্দ্র প্রেমের পাশাপাশি তুলে ধরেছেন তৎকালীন সমাজের মূল্যবোধ, আর্থিক দৈন্য, বিয়ের প্রথা ও আত্মমর্যাদার দ্বন্দ্ব।
এই ব্লগ পোস্টে আমরা তুলে ধরেছি ‘পরিণীতা’ উপন্যাস থেকে কিছু অমর উক্তি বা চিরন্তন লাইন, যা শরৎচন্দ্রের সাহিত্যশৈলীর পরিচায়ক এবং আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
চলুন, ফিরে দেখা যাক শরৎ সাহিত্যের এক অমর পৃষ্ঠায় লেখা হৃদয়ছোঁয়া কিছু কথা…
পরিণীতা উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি: পরিণীতা উপন্যাসের উক্তি
এমন সমাজ থেকে জাত যাওয়াই মঙ্গল। খাই না খাই, শান্তিতে থাকা যায়। যে সমাজ দুঃখীর দুঃখ বোঝে না, বিপদে সাহস দেয় না, শুধু চোখ রাঙায় আর গলা চেপে ধরে সে সমাজ আমার নয়, আমার মতো গরিবেরও নয়- এ সমাজ বড়োলোকের জন্যে। ভালো, তারাই থাক, আমাদের কাজ নাই।
সমাজ বলছে মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে বিয়ে দাও কিন্তু দেবার বন্দোবস্ত করে তো দিতে পারেন না।
মানুষ নিঃশব্দে যে কতবড়ো স্বার্থত্যাগ করিতে পারে, হাসিমুখে কি কঠোর প্রতিশ্রুতি পালন করিতে পারে তাহা আজ সে প্রথম দেখিল।
দু’দিন পর ছেলে মেয়ের হাত ধরে গিয়ে যখন পথে দাঁড়াতে হবে তখন সমাজ বলবে না, এসো আমার বাড়িতে আশ্রয় নাও।
এই ভালোবাসা ঘরের দেয়ালে দেয়ালে ছড়িয়ে পড়েছিল, কিন্তু মুখে কেউ কোনোদিন বলেনি।
ভালোবেসে সবারে আমি চাই না হতে জয়,
ভালোবেসে হার মানাতে সাধ জাগে মোর হৃদয়।
পরিণীতা উপন্যাসের উক্তি
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “পরিণীতা” উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের এক অমর কীর্তি। এই উপন্যাসে প্রেম, সমাজ, আত্মত্যাগ, এবং সম্পর্কের সূক্ষ্ম অনুভূতি অত্যন্ত মাধুর্য্যে তুলে ধরা হয়েছে। নিচে উপন্যাসটি থেকে কিছু অসাধারণ উক্তি বা উদ্ধৃতি দেওয়া হলো, যা আপনি Instagram caption, Facebook status বা সাহিত্যচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন:
✅ পরিণীতা উপন্যাসের অসাধারণ উক্তি
১. “ভালোবাসা লুকিয়ে রাখলেও, চোখে মুখে সব ফুটে ওঠে।”
২. “নারীর নিঃশব্দ ভালোবাসা, পুরুষের দম্ভের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।”
৩. “সংসার নয়, মনটাই আসল ঘর — যেখানে বিশ্বাস থাকে, সেখানেই স্থায়িত্ব।”
৪. “যা হারিয়ে যায়, সেটাই হয়তো সত্যিকারের ভালোবাসা।”
৫. “মেয়েরা কাঁদে ঠিকই, কিন্তু সেই কান্নার মধ্যে কত শত শব্দ লুকিয়ে থাকে তা পুরুষ বোঝে না।”
৬. “যে ভালোবাসে, সে কোনোদিন দাবী করে না; শুধু অপেক্ষা করে।”
৭. “প্রেম মানে কোনো অঙ্গীকার নয় — এটা আত্মার নিঃশব্দ বন্ধন।”
৮. “জীবন তার নিজের নিয়মে চলে, ভালোবাসা শুধু তার পাশে পাশে হাঁটে।”
৯. “পরিণয় মানে কেবল সমাজের স্বীকৃতি নয়, মন আর মনের মিলন।”
১০. “একজন নারীর মৌনতা কখনো কখনো তার সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হয়ে দাঁড়ায়।”