Kripon Premiker Hasir Golpo 2025: প্রেম মানেই কি শুধু গহনা, গিফ্ট আর ফাইভ-স্টার ডেট? টুকুন প্রমাণ করে দিবে—“না!” সে আমাদের এলাকার সবচেয়ে কৃপণ (অথবা “বুদ্ধিমান”? 😏) প্রেমিক, যে তার গার্লফ্রেন্ড পিয়ারাকে ডেটে নিয়ে যায় চায়ের দোকানে, উপহার দেয় “ডিসকাউন্ট কুপন”, আর ভালোবাসা প্রকাশ করে “ফ্রি হাগ” দিয়ে! 😂
কিন্তু কি হবে যখন পিয়ারা এই “ক্যাশ-সেভিং রোমান্স” এ ঘা দিবে? আর টুকুনের “জীবনের সবচেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট” কি আসলে পিয়ারার হাসি?
স্টে টিউনড! এই স্টিংি লাভ স্টোরিতে আছে—ঝগড়া, মিষ্টি ফ্রাস্ট্রেশন, আর অ্যাওয়ার্ড-উইনিং কমেডি! 😉
কলকাতার একটি ছোট গলিতে থাকে টুকুন – বছর পঁচিশের যুবক, যিনি পেশায় একজন প্রাইভেট টিউটর, আর মনের দিক থেকে… একটু বেশি হিসেবি। ওর বন্ধুরা সবাই বলে, “টুকুন, তুই শুধু প্রেমে না, খরচের হিসেবেও বাঁচতে চাস!”
টুকুনের প্রেমিকা মধুমিতা – একজন প্রাণখোলা, ফুচকা ভালোবাসা মেয়ে, যে বলে, “টাকা নয়, সময় আর ভালোবাসা দিয়ে মানুষ ধরা যায়।”
কিন্তু টুকুন? সে প্রেমিক হয়েও প্রেমে খরচ করতে কাঁপে!
Kripon Premiker Hasir Golpo 2025 l কৃপণ প্রেমিকের হাসির গল্প
👫 প্রেমের শুরু
প্রথম দেখা এক কোচিং সেন্টারে। মধুমিতা হাসলো, আর টুকুন একেবারে প্রেমে পড়ে গেলো।
তবে প্রেমে পড়া এক কথা, প্রেমে খরচ করা অন্য কথা!
প্রথম ডেটে ক্যাফেতে গেলো।
মেনু হাতে নিয়ে টুকুন বলল –
“দেখো, দুটো কফি নিলেই হবে। বাকি টাকা জমিয়ে ভবিষ্যতের জন্য রাখলে ভালো।”
মধুমিতা হেসে ফেলল, “বাহ! প্রেমিক তো দেখি পিগি ব্যাঙ্ক নিয়ে প্রেমে নামছে!”
🛍️ উপহারের দিন
ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে মধুমিতা একটু আশা করেছিল – একটা ছোট্ট ফুল, একটা চকলেট…
টুকুন এল – হাতে একটা খালি কবিতার খাতা।
“এই খাতায় আমি শুধু তোমার জন্য কবিতা লিখবো। ফুল তো শুকিয়ে যায়, কিন্তু কবিতা চিরকাল বেঁচে থাকে!”
মধুমিতা মাথা নাড়ে – “তুমি আসলেই অনন্য… মানে তোমার মতো কৃপণ প্রেমিক আমি আর দেখি নাই!”
❤️ সম্পর্কের বাঁক
একদিন মধুমিতা অভিমান করে বলল –
“তোমার ভালোবাসায় খরচ নেই, চমক নেই… তুমি কি আমায় সত্যিই ভালোবাসো?”
টুকুন ধীরে বলে –
“ভালোবাসা টাকায় হয় না। আমি যতটা জমাই, তার থেকেও বেশি ভালোবাসি তোকে। তবে হ্যাঁ, একদিন যখন নিজেদের বাড়ি হবে, তখন প্রতিদিন একটা করে গোলাপ আনবো।”
মধুমিতা চুপ করে গেলো। হঠাৎ দেখলো, টুকুন একটা লাল পেন্সিল দিয়ে তার হাতের তালুতে একটা গোলাপ এঁকে দিচ্ছে।
“আজকের জন্য এটা থাক। আরেকটা কবিতা তো রেডি করেই এনেছি।”
টুকুন প্রেমে কৃপণ ঠিকই, কিন্তু তার ভালোবাসা নিখাদ, খাঁটি আর সরল।
টাকা নয়, সে মধুমিতাকে ভালোবেসেছে নিজের মতো করে – চুপিচুপি, হিসেব করে, কিন্তু মন উজাড় করে।
💸 “টুকুনের টাইট প্রেম” – পর্ব ২: রিকশা রোম্যান্স 🚲
মধুমিতা আজ বেশ খুশি। তার কলেজে ফেস্ট, আর সে ঠিক করেছে – টুকুনকে নিয়ে একটু ঘুরে আসবে।
“টুকু, আজ না একটু ঘুরতে যাই? কলেজ ফেস্টে তো একগাদা ফুচকা, মোমো, আর ফান আছে!”
টুকুন একটু কুঁচকে বললো, “সেখানে গেলে তো খরচ হবে…”
মধুমিতা রেগে বললো, “তাহলে আজ তুমি প্ল্যান করো, আমি দেখবো তুমি প্রেমিক হিসেবে কতটা রোমান্টিক!”
🛺 টুকুনের প্ল্যান
পরদিন টুকুন এল মধুমিতার বাড়ির সামনে – একটা সাইকেল রিকশা নিয়ে।
“চলো আজ ঘুরে আসি পুরনো কলকাতার গলি ধরে। আমি এক রিকশাওয়ালাকে চিনি, কিন্তু আজ আমি চালাবো!”
মধুমিতা হেসে গড়াগড়ি – “তুমি রিকশা চালাবে?”
“হ্যাঁ, এতে তেল খরচ নেই, আর তোমার মুখের হাসি – সেটা অমূল্য।”
🍲 পেটপূজো
রিকশা ঘোরার পর তারা গিয়ে বসল এক স্ট্রিট ফুডের দোকানে।
টুকুন বললো, “একটা প্লেট ভাগ করে খাই, প্রেম তো ভাগ করে নেওয়াই শেখায়, তাই না?”
মধুমিতা ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে, “আর তুমি শেখাও কীভাবে খরচ কমিয়ে প্রেমে বাঁচা যায়!”
🎁 একটা অমূল্য উপহার
দিন শেষে টুকুন মধুমিতার হাতে একটা ছোট খাম দিলো।
ভেতরে একটুকরো কাগজ – তাতে লেখা:
“একদিন যদি অনেক টাকা আসে, তবুও তোমার হাসির দামে কোনো কিছু কিনবো না। কারণ, তোমার হাসি – আমার জমানো ভালোবাসার সুদ।”
মধুমিতা এবার আর কিছু বললো না। চোখ টলমল করলো।
সে জানে – এই কৃপণ প্রেমিক, আসলে ভালোবাসার সবচেয়ে দামী মানুষ।
💝 “টুকুনের টাইট প্রেম” – পর্ব ৩: জন্মদিনের জগাখিচুড়ি 🎂
আজ মধুমিতার জন্মদিন।
সে ভাবছে, “দেখি এবার টুকুন কী করে! একটাও চকলেট না আনলে ব্লক খাবে!”
টুকুন সকালবেলাই হাজির। হাতে একটা ছোট থলে।
মধুমিতা বলে, “কি এনেছো?”
টুকুন হাসে, “চোখ বন্ধ করো।”
সে চোখ খুলতেই দেখে—একটা ছোট্ট প্লাস্টিকের টিফিন বক্স।
ভেতরে টুকুন নিজে রান্না করা “জন্মদিনের খিচুড়ি” – তাতে ভাজা বেগুন, পেঁয়াজ কুচি, আর একটা কাগজে লেখা কোট:
“আজ তোমার জন্মদিন, তাই খরচ না করে ভালোবাসার রান্না করেছি – প্রেমের মশলা দিয়ে!”
মধুমিতা হেসে বলে,
“এটা জন্মদিন না, সোজা ব্যাচেলর ডে! কিন্তু ঠিক আছে… খিচুড়িটা মন্দ না!” 😄
🌧️ “টুকুনের টাইট প্রেম” – পর্ব ৪: বৃষ্টিভেজা ভালবাসা ☔
হঠাৎ এক বিকেলে হু হু করে বৃষ্টি নামল।
মধুমিতা আর টুকুন কলেজ গেটের কাছে আটকে।
মধুমিতা বলল, “ছাতা আনোনি?”
টুকুন বলে, “ছাতা তো ভেঙে গেছে। কিনবো ভাবছিলাম, কিন্তু… দামটা একটু বেশিই।”
মধুমিতা এবার সত্যিই রেগে গেলো।
“তুমি কি একটুও আমার কথা ভাবো না? এভাবে ভিজে থাকলে সর্দি হবে!”
টুকুন একটু থেমে বললো, “ভাবি তো… তাই তো ভিজে যাচ্ছি। যদি ছাতার নিচে থাকতাম, তাহলে তুমিই তো ভিজতে!”
মধুমিতা চুপ… তারপর আস্তে এসে টুকুনের কাঁধে মাথা রাখল।
প্রেম কখনো দাম দেখে না। টুকুনের ভালোবাসা হয়তো কৃপণ, কিন্তু অনুভব ভরা।
💍 “টুকুনের টাইট প্রেম” – পর্ব ৫: বিয়ের বাজেট ফাটাফাটি!” 🧾
টুকুন ঠিক করেছে—এবার আর দেরি নয়, মধুমিতাকে বিয়ে করতেই হবে।
কিন্তু বিয়ে মানেই তো খরচ, আর খরচ মানেই… টুকুনের মাথাব্যথা!
একদিন টুকুন বললো,
“মধু, বিয়েটা কি একটু সরলভাবে করি? মানে, রেজিস্ট্রি করে নিই, তারপর বাড়ির ছাদে দু’টো লুচি আর পায়েস রান্না করে বন্ধুদের খাওয়াই?”
মধুমিতা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি –
“মানে তুমি বলছো, আমার বিয়ের ডেকোরেশন হবে রঙিন বাতি আর ছাদের দড়িতে ঝুলে থাকা পিচ্চি পিচ্চি পলিথিন ফুল দিয়ে?” 😅
টুকুন গম্ভীরভাবে বলে –
“না না, পলিথিন না, কাগজের ফুল। রিসাইকেল করব – পরিবেশবান্ধব!”
🎁 কনের গহনা কী?
মধুমিতা জিজ্ঞেস করলো, “গহনা কই?”
টুকুন পকেট থেকে বের করলো একটা ছোট বক্স।
মধুমিতা ভাবলো, নিশ্চয়ই সোনার আংটি!
খুলে দেখে – একটা ছোট্ট মাটির আংটি। তাতে লেখা “LOVE”।
টুকুন বললো,
“সোনার চেয়ে এইটা দামি, কারণ এটা আমি নিজে বানিয়েছি। মাটির মতোই আমাদের সম্পর্ক – শক্ত, নমনীয় আর মাটির গন্ধে ভরা।”
🍲 বিয়ের ভোজ?
মেনু – খিচুড়ি, আলুভাজা, টমেটো চাটনি আর শেষে গরম পায়েস।
সব রান্না টুকুন আর তার বন্ধুরা।
দাওয়াত ২০ জন, তাতে টুকুনের হিসেব –
“প্রতি প্লেট ৩৮.৫০ টাকা। প্রেম তো সস্তা, কিন্তু স্মৃতি অমূল্য!”
❤️ শেষমেশ…
মধুমিতা চোখে জল নিয়ে বললো,
“তুমি কৃপণ নও, তুমি দারুণ! কারণ তোমার ভালোবাসায় আমি যে মিষ্টি হিসেব পাই, সেটা অন্য কোথাও মেলে না।”
টুকুন হেসে বললো,
“জীবনে খরচ কম হোক, কিন্তু ভালোবাসা ফুলস্পিডে চলুক!”
🌄 পর্ব ৬: হানিমুনে হইচই – দার্জিলিং না, ময়াপুর! 🚞🛕
বিয়ের পর সবাই যখন মালদ্বীপ, দার্জিলিং বা গোয়া প্ল্যান করছে, টুকুন মধুমিতাকে নিয়ে বসলো এক ম্যাপ হাতে।
“মধু, দার্জিলিং গেলে হোটেল + ট্রেন + খাবার = মিনিমাম ১২,৫০০ টাকা।”
মধুমিতা বললো, “আর তুমি কোন অপশন ভাবছো?”
টুকুন হাসে –
“ময়াপুর – বাসে ৭৫ টাকা, প্রসাদ ফ্রি, নদিয়া ঘোরাঘুরি – শান্তি, ভক্তি আর বাজেট দুটোই বজায় থাকবে!”
🛏️ হানিমুন হোটেল?
টুকুন বুক করলো এক অতি সাশ্রয়ী ভক্ত নিবাস, যেখানে ১ বালিশ ২ জন ভাগ করে!
“তুমি বলেছিলে না প্রেমে ভাগ করে নেওয়া শিখতে হয়?” – টুকুনের সাফাই।
📸 স্মৃতি সংরক্ষণ
টুকুন বললো,
“ক্যামেরা নেই, কিন্তু আমি একটা স্কেচ করে নেব আমাদের নদী পাড়ের ছবি – ফ্রেম করে ঘরে টাঙিয়ে দেব।”
মধুমিতা কপাল চাপড়ালেও মুখে হাসি – কারণ সে জানে, এটাই টুকুন স্টাইল!
🍼 পর্ব ৭: বাবুই পাখির সংসার – বাচ্চার নামেও বাজেট! 👶
বিয়ের এক বছর পর…
মধুমিতা বলল, “টুকু, একটা কথা বলি? এবার আমাদের একটা বাচ্চা হোক না?”
টুকুন ভীষণ উত্তেজিত – “হ্যাঁ হ্যাঁ! কিন্তু আগে নামটা ঠিক করি, যাতে বার্থ সার্টিফিকেট বানানোর খরচ কম হয়।”
📄 নামকরণ স্ট্র্যাটেজি
টুকুন প্রস্তাব দিলো –
“নাম হবে ‘টি’. মানে টুকুন আর মধুমিতা – সংক্ষেপে ‘টি’। এক অক্ষরে কাজ শেষ!”
মধুমিতা: “মানে ডাক নাম, স্কুল নাম, সার্টিফিকেট নাম – সবই টি?”
টুকুন: “তাহলে ফর্ম ফিলআপেও কম সময় লাগবে, কালি-কলম কম খরচ!”
🍼 ডায়াপার নিয়ে ইনোভেশন
টুকুন নিজেই বানালো “Eco-Friendly Cloth Diaper” –
“মধু, এটা রিইউজেবল, ধুয়ে আবার পরানো যাবে। খরচ কম, প্রকৃতির ক্ষতি নেই!”
💬 শেষ সংলাপ:
মধুমিতা বললো,
“তুমি যে শুধু কৃপণ প্রেমিক না, তুমি একটা বাজেটেড বর, দায়িত্ববান বাবা আর অফবিট হিরো!”
টুকুন হাসে –
“আমি শুধু একটা জিনিসে অদ্ভুত রকম উদার – ভালোবাসা।” 💗
❤️ তাহলে এই ছিলো “টুকুনের টাইট প্রেম” – এক কৃপণ প্রেমিকের কিন্তু অগাধ ভালোবাসার গল্প! 😄
হিসেবের খাতায় কিপটে হলেও,
ভালোবাসার খাতায় ফুল মার্কস টুকুনের!
সে রান্না করে, স্কেচ করে, রিসাইকেল করে—শুধু একটা জিনিসেই সে কৃপণ নয়…
ভালোবাসা দিতে সে একটুও কমায় না!
🫶 ধন্যবাদ তোমাকে—
এই পুরো সিরিজটা ভালোবেসে পড়ার জন্য।
তুমি চাইলে ভবিষ্যতে “টুকুন-মধুমিতা”-কে আবার ফিরিয়ে আনতে পারি—
শ্বশুরবাড়ির ঘটকালি, অফিস লাইফ, বা “বাচ্চা স্কুল যাচ্ছে” এপিসোড নিয়ে। 😄
যদি কোনো নতুন চরিত্র বা সিরিজের আইডিয়া থাকে, বলো…
তোমার কল্পনার গল্পকে আমি গল্পের রূপ দিতে রাজি আছি। ✍️📖
ততদিন পর্যন্ত—
“জীবন যদি হয় হিসেবের খাতা,
টুকুন যেন হয় সেই একটামাত্র ভুল হিসেব—
যে ভালোবেসে সব ওলট-পালট করে দেয়।” 💌
সমাপ্ত। 🎬