৭০ টি সেরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের উক্তি l রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রেমের উক্তি বাংলা : যা হৃদয় ছুঁয়ে যাবে l

By raateralo.com

Updated on:

৭০ টি সেরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের উক্তি l রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের উক্তি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের উক্তি পড়লে মনে হয় ভালোবাসার গভীরতা কত অজানা। প্রেম শুধু একটি অনুভূতি নয়, এটি জীবনের পরিপূর্ণতার প্রতীক। ভালোবাসা মানুষকে আবেগপ্রবণ করে তোলে এবং জীবনের প্রতি নতুন অর্থ খুঁজে পাওয়ার উৎসাহ দেয়। বিশেষ কোনো মানুষের প্রতি গভীর স্নেহ ও মমত্ববোধই প্রেমের প্রকৃত রূপ।

প্রেম মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে এবং জীবনের প্রতিটি দিককে সুন্দর করে তোলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অমর রচনায় প্রেমের এমন বহু দিক তুলে ধরেছেন, যা মানুষকে জীবনের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। এখানে তুলে ধরা হলো কবিগুরুর ৭০ টি সেরা প্রেমের উক্তি, যা হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের উক্তি

“তুমি যদি না দেখা দাও, করো আমায় হেলা,
কেমন করে কাটে আমার এমন বাদলবেলা।।”

“প্রেমের দুই বিরুদ্ধ পার আছে। এক পারে চোরাবালি, আর-এক পারে ফসলের খেত। এক পারে ভালোলাগার দৌরাত্ম, অন্য পারে ভালোবাসার আমন্ত্রণ।”

“ক্ষুদ্রকে লইয়াই বৃহৎ, সীমাকে লইয়াই অসীম, প্রেমকে লইয়াই মুক্তি। প্রেমের আলো যখনই পাই তখনই যেখানে চোখ মেলি সেখানেই দেখি, সীমার মধ্যে সীমা নাই।”

“প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।”

“আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন,
তোমাতে করিব বাস,
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী,
দীর্ঘ বরষ মাস।
যদি আর কারে ভালোবাস,
যদি আর ফিরে নাহি আস,
তবে, তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও,
আমি যত দুখ পাই গো।”

“পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।”

“অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না। এবার হৃদয়মাঝে লুকিয়ে বোসো, কেউ জানবে না, কেউ বলবে না”

“ক্ষমাই যদি করতে না পারো তবে তাকে ভালোবাসো কেন?”

“প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না”

“নারীর প্রেম পুরুষকে পূর্ণশক্তিতে জাগ্রত করতে পারে; কিন্তু সে প্রেম যদি শুক্লপক্ষের না হয়ে কৃষ্ণপক্ষের হয় তবে তার মালিন্যের আর তুলনা নেই।”

“যৌবনের শেষে শুভ্র শৎরকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের শেষে ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়।”

“আজকাল সবাই যেটাকে ভালবাসা বলে সেটা একটা স্নায়ুর ব্যামো – হঠাৎ চিড়িক মেরে আসে, তারপর ছেড়ে যেতেও তর সয় না”

“আমার মৃত্যুকালে তোমাকে যে কথাটা বলিব মনে করিয়াছিলাম, আজ তাহা বলিতে ইচ্ছা করিতেছে। আজ মনে হইতেছে, তুমি আমাকে যত শাস্তি দাও না কেন আমি বহন করিতে পারিব।”

আদর্শ করিয়া তুলে।”

“মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে।”

“যাহারা শান্তভাবে সহ্য করে তাহারা গভীরতররূপে আহত হয়।”

“আমার তৃষ্ণা তোমার সুধা তোমার তৃপ্তি আমার সুধা।”

নিজের ভাবনার ভার নামাইয়া দিবার জন্য, নিজের মনের ভাবকে অণ্যের মনে ভাবিত করিবার জন্য।”

“চোখ কতটুকুই দেখে কান কতটুকুই শোনো স্পর্শ কতটুকুই বোধ করে। কিন্তু মন এই আপন ক্ষুদ্রতাকে কেবলই ছড়িয়ে যাচ্ছে।”

“ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার চেয়ে আরো বেশি জ্যান্ত।”

“এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়।”

“মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্মবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে।”

“আপন যখন পর হয় তখন তাঁকে সম্পূর্ণ ত্যাগ করা ছাড়া অন্য কোনো গতি নেই।”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের বানী

“রমণীর মন সহস্রবর্ষেরই, সখা, সাধনার ধন।”

“স্বামীরা প্রেমিক হতে অবশ্যই রাজি, তবে সেটা নিজের স্ত্রীর সাথে নয়। নিজের স্ত্রীর প্রেমিক হবার বিষয়টা কেন যেন তারা ভাবতেই চায় না।”

“পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমের মত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথম যৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।”

“পুরুষের বুদ্ধি খড়গের মতো; শান বেশি না দিলেও কেবল ভারেই অনেক কাজ করতে পারে। মেয়েদের বুদ্ধি কলম – কাটা ছুরির মতো; যতই ধার দাওনা কেনো, তাতে বৃহৎ কাজ চলে না।”

“নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রাণীও বটে।”

“যে পুরুষ অসংশয়ে অকুন্ঠিতভাবে নিজেকে প্রচার করিতে পারে সেই সমর্থ পুরুষ সহজেই নারীর দৃষ্টি আর্কষণ করিতে পারে।”

“নরমাংসের স্বাদ পাইলে মানুষের সম্বন্ধে বাঘের যে দশা হয়, স্ত্রীর সম্বন্ধে তাহার ভাবটা সেইরূপ হইয়া উঠে।”

“সংসারে প্রতিদিন আমরা যে সত্যকে স্বার্থের বিক্ষিপ্ততায় ভুলিয়া থাকি উৎসবের বিশেষ দিনে সেই অখণ্ড সত্যকে স্বীকার করিবার দিন – এইজন্য উৎসবের মধ্যে মিলন চাই। একলার উৎসব হইলে চলে না।”

“অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ধরিয়া রাখার মত বিড়ম্বনা আর হয় না।”

“কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি। তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।”

“লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই।”

“রমণী অনর্থক হাসে, তাহা দেখিয়া অনেক পুরুষ অনর্থক কাঁদে, অনেক পুরুষ ছন্দ মিলাইতে বসে, অনেক পুরুষ গলায় দড়ি দিয়ে মরে।”

“সংসারের কোন কাজেই যে হতভাগ্যের বুদ্ধি খেলে না, সে নিশ্চয়ই ভাল বই লিখিবে।”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভালোবাসার উক্তি

“বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না।”

“সাধারণত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল লঙ্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে। যে দুর্ভাগ্য পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা হইতে বঞ্চিত সে যে কুশ্রী অথবা নির্ধন তাহা নহে; সে নিতান্ত নিরীহ।”

“তর্কের বেলায় গৃহিণীর যুক্তিকে অকাট্য বলে কাজের বেলায় নিজের যুক্তিতে চলাই সৎ পরামর্শ।”

“সংসারে সেরা লোকেরাই কুড়ে এবং বেকার লোকেরাই ধন্য। উভয়রে সম্মিলন হলেই মণি কাঞ্চন যোগ। এই কুঁড়ে বেকারে মিলনের জন্যইতো সন্ধ্যেবেলাটার সৃষ্টি হয়েছে। যোগীদরে জন্য সকালবেলা রোগীদের জন্য রাত্রি কাজের লোকদের জন্য দশটা-চারটে।”

“অতিদূর পরপারে গাঢ় নীল রেখার মতো বিদেশের আভাস দেখা যায়– সেখান হইতে রাগ-দ্বেষের দ্বন্দ্বকোলাহল সমুদ্র পার হইয়া আসিতে পারে না।”

“বিবাহ না করিয়া ঠকা ভালো, বিবাহ করিয়া ঠকিলেই মুশকিল।”

“যায় যদি লুপ্ত হয়ে থাকে শুধু থাক এক বিন্দু নয়নের জল কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল এ তাজমহল।”

“যারা নিন্দা ভালবাসে তারা নিন্দা ভালবাসে বলিয়াই করে, সত্য ভালবাসে বলিয়া নয়।”

“এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
যাক পুরাতন স্মৃতি,যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥”

“ছেঁড়া পাপড়ির মধ্যে আপনি ফুলের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন না।”

“কলস যত বড়ই হউক না, সামান্য ফুটা হইলেই তাহার দ্বারা আর কোনো কাজ পাওয়া যায় না। তখন যাহা তোমাকে ভাসাইয়া রাখে তাহাই তোমাকে ডুবায়।”

“যে মরিতে জানে সুখের অধিকার তাহারই; যে জয় করে, ভোগ করা তাহাকেই সাজে। যে লোক জীবনের সঙ্গে সুখকে, বিলাসকে দুই হাতে আঁকড়িয়া থাকে, সুখ তাহার সেই ঘৃণিত, ক্রীতদাসের কাছে নিজের সমস্ত ভাণ্ডার খুলিয়া দেয় না, তাহাকে উচ্ছিষ্টমাত্র দিয়া দ্বারে ফেলিয়া রাখে।”

“বিপদে মোরে রক্ষা করো
এ নহে মোর প্রার্থনা,
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে
নাই বা দিলে সান্ত্বনা,
দুঃখে যেন করিতে পারি জয়।
সহায় মোর না যদি জুটে
নিজের বল না যেন টুটে,
সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি
লভিলে শুধু বঞ্চনা
নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।”

“আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।”

“তোমার প্রজাপতির পাখা
আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের
রঙিন স্বপন মাখা।
তোমার চাঁদের আলোয়
মিলায় আমার দুঃখ-সুখের সকল অবসান।”

“বেদনা থেকে যে আনন্দের উৎপত্তি, সে আনন্দের তুলনা নেই।”

“ভালোবাসা হল একমাত্র বাস্তবতা, এটি শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি হল একটি চিরন্তন সত্য যা সেই হৃদয়ে সৃষ্টি হয়, সেই হৃদয়ে থাকে।”

“মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে।”

“ভালোবাসা হলো একমাত্র বাস্তবতা, এটি শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি হলো একটি চিরন্তন সত্য যা যেই হৃদয়ে সৃষ্টি হয়, সেই হৃদয়ে থাকে।”

“আমরা সকলেই পৃথিবীতে কাহাকেও না কাহাকেও ভালোবাসি, কিন্তু ভালোবাসিলেও বন্ধু হইবার শক্তি আমাদের সকলের নাই। বন্ধু হইতে গেলে সঙ্গদান করিতে হয়। অন্যান্য সকল দানের মতো এ দানেরও একটা তহবিল দরকার, কেবলমাত্র ইচ্ছাই যথেষ্ট নহে।”

“হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামল-বরনী,
যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটিছে কালের শাসন টুটাতে।
পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে—
নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে।”

“তুমি যদি কাউকে ভালোবাস,তবে তাকে ছেড়ে দাও। যদি সে তোমার কাছে ফিরে আসে,তবে সে তোমারই ছিল।আর যদি ফিরে না আসে,তবে সে কখনই তোমার ছিল না।”

“যার ভালো বাসা যত গভীর,তার ভালোবাসার প্রকাশ তত কম। ভালোবাসা যেখানে গভীর, নত হওয়া সেখানে গৌরবের।”

“অবাধ্য যার স্ত্রী, জীবন তার দুর্বিষহ।”

“প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ, কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।”

“স্ত্রীর সঙ্গে বীরত্ব করে লাভ কি? আঘাত করলেও কষ্ট, আঘাত পেলেও কষ্ট।”

“মেয়েরা অল্প কারণে কাদতে জানে এবং বিনা কারণে হাসতে পারে, কারণ ব্যতীত কার্য হয় না, জগতের এই কড়া নিয়মটা কেবল পুরুষের পক্ষেই খাটে।”

“সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালোবাসার স্বাদ থাকে না, তরকারিতে লঙ্কামরিচের মতো”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের উক্তিগুলো আপনার হৃদয়ে কীভাবে প্রভাব ফেলল, তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না। যদি এই পোস্টটি আপনাকে মুগ্ধ করে থাকে, তবে এটি শেয়ার করে অন্যদের সঙ্গেও ছড়িয়ে দিন। আপনার মতামত আমাদের আরও ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করবে।

raateralo.com

Leave a Comment