Raater Alo

Memorable Quotes by Confucius 2024 l কনফুসিয়াসের স্মরণীয় উক্তি l

Memorable Quotes by Confucius

Memorable Quotes by Confucius: মানব সভ্যতার ইতিহাসে কয়েকজন চিন্তাবিদ আছেন যারা তাদের অমর জ্ঞান ও গভীর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যুগ যুগ ধরে মানুষকে পথ দেখিয়েছেন। কনফুসিয়াস তেমনি এক মহামানব। চীনের প্রাচীন দার্শনিক কনফুসিয়াস তার চিন্তা ও বাণীগুলোর মাধ্যমে আজও আমাদের জীবনকে আলোকিত করে চলেছেন। ২০২৪ সালে, তার স্মরণীয় উক্তিগুলো নতুনভাবে বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিকতা অর্জন করেছে। আসুন, এই মহান দার্শনিকের কিছু গভীর এবং মর্মস্পর্শী উক্তির সাথে পরিচিত হই এবং দেখি কিভাবে এই জ্ঞানের মশাল আমাদের জীবনে আলোর দিশা দিতে পারে।

কনফুসিয়াসের শিক্ষাগুলো শুধুমাত্র প্রাচীন চীনের মানুষের জন্যই নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তার বাণীগুলো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা-ভাবনা ও কার্যকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে। জীবন, শিক্ষা, নৈতিকতা, এবং মানবতা বিষয়ে তার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আজও প্রাসঙ্গিক ও মূল্যবান। এই ব্লগে, আমরা কনফুসিয়াসের কিছু স্মরণীয় উক্তির সাথে পরিচিত হবো এবং কিভাবে সেগুলো আমাদের আধুনিক জীবনে প্রয়োগ করতে পারি তা আলোচনা করবো।

Memorable Quotes by Confucius 2024 l কনফুসিয়াসের স্মরণীয় উক্তি l

ভুল করায় লজ্জিত হয়ে তাকে অপরাধে রূপান্তরিত কোরো না।

প্রতিশোধের পথে যাওয়ার আগে দুটি কবর খুঁড়ে রেখো একটি নিজের জন্য, অপরটি শত্রুর জন্য।

সবকিছুরই সৌন্দর্য আছে, কিন্তু সব মানুষ তা দেখতে পায় না।

কেউ আঘাত করলে ভুলে যেও, কিন্তু দয়া দেখালে নয়।

আমি শুনি এবং ভুলে যাই, আমি দেখি এবং স্মরণ করি, আমি করি এবং বুঝি।

অজ্ঞতা হলো মনের রাত্রি, কিন্তু সেটা চন্দ্র ও নক্ষত্রহীন রাত।

তুমি কত ধীর গতিতে অগ্রসর হচ্ছো সেটা কোনো ব্যাপার নয় যতক্ষণ না তুমি থেমে না যাও।

মানুষের প্রকৃতি একই রকম; তাদের অভ্যাসই কেবল তাদের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে।

নিজেকে শ্রদ্ধা কর, তাহলে অন্যেরাও তোমাকে শ্রদ্ধা করবে।

ভবিষ্যৎকে সংজ্ঞায়িত করতে হলে অতীত নিয়ে অধ্যয়ন কর।

নিরাপদ অবস্থায় বিশ্রামের সময়ও একজন উত্তম মানব বিপদের কথা ভুলে যায় না। নিরাপদ অবস্থায়ও সে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মনে রাখে। যখন সবকিছু শৃঙ্খলবদ্ধ, তখনও সে বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনার কথা ভুলে যায় না। ফলে ব্যক্তি হিসেবে সে বিপদে পড়ে না, এবং তার রাজ্য ও বংশের সদস্যরা নিরাপদ থাকে।

যে কোনো পরিস্থিতিতে পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের চর্চা করলে নিখুঁত সদগুণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এগুলো হলো: গাম্ভীর্য, আত্মার উদারতা, আন্তরিকতা, ঐকান্তিকতা ও দয়া।

যা সঠিক তা দেখেও কিছু না করা হলো সাহস বা নীতির অভাব।

উত্তম মানব খোঁজে নিজের মধ্যে, অধম মানব খোঁজে অন্যের মধ্যে।

রাগান্বিত হলে এর পরিণামের কথাও বিবেচনা করা উচিত।

আমরা যখন বিপরীত চরিত্রের কাউকে দেখি তখন আমাদের নিজেদের ভেতরটা পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

যেখানেই তুমি যাও, হৃদয়ের পূর্ণতা নিয়ে যাও।

যারা সুখ ও প্রজ্ঞায় স্থির থাকে তারা প্রায়শই বদলে যায়।

সুন্দর কথা আর কুশলী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে প্রকৃত সদগুণের অল্পই যোগাযোগ আছে।

তোমার সমকক্ষ নয় এমন কারো সাথে বন্ধুত্ব কোরো না।

যে তার সদগুণ প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করে তাকে ধ্রুবতারার সাথে তুলনা করা যায়, যে তার নিজের অবস্থানে স্থির থাকে, আর অন্যান্য নক্ষত্র তার দিকে চেয়ে থাকে।

যে ভদ্রতা ত্যাগ করে কথা বলে সে নিজের কথা বাস্তবায়ন করতে সমস্যায় পড়ে।

সে ব্যক্তি সত্যিই বুদ্ধিমান যার মনের ভেতরটা বদনাম রটিয়ে ভেজানো যায় না, অথবা কোনো কথা যার মাংসে জ্বালা ধরাতে পারে না।

বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতাকে প্রথম নীতি হিসেবে গ্রহণ কর।

আমি এমন ব্যক্তি নই যে জ্ঞান নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে; আমি তেমন ব্যক্তি যে প্রাচীনতাকে পছন্দ করে এবং সেখানেই জ্ঞান খুঁজে পেতে চায়।

একজন মানুষ যদি দূরের কথা চিন্তা না করে, তাহলে সে কাছেই দুঃখের সম্মুখীন হবে।

সদগুণ কি দূরবর্তী কোনো বস্তু? আমি যখনই সদগুণের অধিকারী হতে চাই, তখনই সদগুণ আমার কাঁধে ভর করে।

আঘাতকে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে প্রতিদান দাও, আর দয়ার প্রতিদান দাও দয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে।

সাবধানিরা কদাচিৎ ভুল করে।

দৃঢ়চেতা বিদ্বান ও গুণী মানুষেরা নিজেদের সদগুণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বাঁচতে চায় না। তারা তাদের ভালো গুণ সমুন্নত রাখার জন্য এমনকি জীবন বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত।

দৃঢ়তা, স্থায়িত্ব, সারল্য ও ভদ্রতার অবস্থান সদগুণের সন্নিকটে।

গুণী মানুষের প্রথম অগ্রাধিকার হলো বাধা আসলে তা অতিক্রম করা; সাফল্যের বিবেচনা পরে।

তিনিই একজন পরিপূর্ণ মানুষ যিনি লাভের ক্ষেত্রে ন্যায্যতার কথা বিবেচনা করেন, বিপদে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকেন এবং যতো পুরোনোই হোক অতীত সমঝোতার কথা ভুলে যান না।

যে বিদ্বান ব্যক্তি আরাম-আয়েশকে ভালোবাসে সে বিদ্বান হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য নয়।

উত্তম মানবকে ক্ষুদ্র বিষয় দিয়ে বিচার করা যাবে না, কিন্তু বড় বিষয়ের দায়িত্ব দিয়ে তার উপর নির্ভর করা যাবে। ক্ষুদ্র মানবকে বড় বিষয়ের দায়িত্ব দিয়ে বিশ্বাস করা যাবে না, কিন্তু ক্ষুদ্র বিষয়ের মাধ্যমে তাকে চেনা যাবে।

উত্তম মানব তার বাক্যে ভদ্রতা বজায় রাখে, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে সে সবাইকে ছাড়িয়ে যায়।

উত্তম মানব সন্তুষ্ট ও শান্ত থাকে; অধম মানব সবসময় বেদনাগ্রস্ত থাকে।

উত্তম মানব নিজের মনকে কোনো কিছুর পক্ষে বা বিপক্ষে স্থাপন করে না; যা সঠিক সেটাকেই সে অনুসরণ করে।

তিনটি জিনিসের ব্যাপারে উত্তম মানব সতর্ক প্রহরায় থাকে। যৌবনে লালসা; যখন সে শক্তিশালী তখন … কলহপ্রবণতা; আর যখন সে বৃদ্ধ তখন… লোলুপতা।

যা কিছু সমাধা হয়েছে তা নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই; যা কিছু অতীত তা নিয়ে দোষারোপ করা অনাবশ্যক।

সীমা অতিক্রম করা লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগে থেমে যাওয়ার মতোই অযৌক্তিক।

সদগুণ মানুষের কাছে জল বা আগুনের চেয়েও বেশি কিছু। জলে বা আগুনে পড়ে আমি মানুষকে মরতে দেখেছি, কিন্ত সৎ পথে চলায় কোনো মানুষকে আমি মরতে দেখিনি।

সদগুণ একা দাঁড়িয়ে থাকে না। যে এর চর্চা করে তার প্রতিবেশী থাকে।

যেটা তুমি নিজের ক্ষেত্রে ঘটতে দেখতে চাও না, সেটা অন্যের ক্ষেত্রেও ঘটিও না।

যখন একজন মানুষ যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করে কিন্তু সেটা ধরে রাখার মতো সদগুণ তার থাকে না, তখন সে যা অর্জন করে তা হারিয়ে ফেলে।

তোমার যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তা ত্যাগ করতে ভয় পেয়ো না।

খাওয়ার জন্য মোটা চাল, পান করার জন্য জল, আর বালিশ হিসেবে আমার ভাঁজ করা হাত এর মধ্যেও আমি আনন্দ খুঁজে পাই। অনৈতিক আচরণের মাধ্যমে অর্জিত ধন ও সম্মান আমার কাছে কেবল ভাসমান মেঘের মতো।

নীতিবানের সঙ্গ ছাড়া চরিত্র গঠন সম্ভব নয়।

উত্তম মানব কথা বলার পূর্বে কাজ করে, আর পরবর্তীতে কাজের ভিত্তিতে কথা বলে।

তুমি যদি মানুষের সেবা করতে না পার, তবে মৃত মানুষের আত্মার সেবা করবে কীভাবে? তুমি যদি জীবন সম্পর্কে না জান, তাহলে মৃত্যু সম্পর্কে কীভাবে জানবে?


আরও পড়ুন: বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা

See More: The best affordable TV sets for home
Exit mobile version